Spotting
 Timeline
 Travel Tip
 Trip
 Race
 Social
 Greeting
 Poll
 Img
 PNR
 Pic
 Blog
 News
 Conf TL
 RF Club
 Convention
 Monitor
 Topic
 #
 Rating
 Correct
 Wrong
 Stamp
 PNR Ref
 PNR Req
 Blank PNRs
 HJ
 Vote
 Pred
 @
 FM Alert
 FM Approval
 Pvt
Forum Super Search
 ↓ 
×
HashTag:
Freq Contact:
Member:
Posting Date From:
Posting Date To:
Blog Category:
Train Type:
Train:
Station:
Pic/Vid:   FmT Pic:   FmT Video:
Sort by: Date:     Word Count:     Popularity:     
Public:    Pvt: Monitor:    Topics:    

Search
  Go  
dark modesite support
 
Thu May 9 14:29:37 IST
Home
Trains
ΣChains
Atlas
PNR
Forum
Quiz
Topics
Gallery
News
FAQ
Trips
Login
Post PNRPost BlogAdvanced Search
Filters:

Page#    4 Blog Entries  
Info Update
76276 views
1

Oct 29 2019 (12:45)   37111/Howrah - Belur Math Local | BESY/Belur Scrap Yard
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26418 blog posts
Entry# 4472142            Tags   Past Edits
বুড়িমা চকোলেট বোম আজও নস্টালজিক। আমরা সবাই ফাটিয়েছি।চলুন দেখে নিই তার ইতিহাস।
.
বাঙালি ব্যবসা করুক না করুক বেশ গাল ভরা কিছু বিদেশি শব্দ অবশ্য একদল বাঙালির মুখে মুখে – অঁতরপ্রেনার,ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, এঞ্জেল ইনভেস্টর, স্টার্ট-আপ ইত্যাদি৷ কিন্তু তারও অনেক দিন আগে এক ভিটে ছেড়ে আসা এক উদ্বাস্তু মহিলা জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকতে থাকতে বাজি তৈরি করতে বসেছিলেন আর তাঁর চকলেট বোম এতই জনপ্রিয় হল যে নামই হয়ে গেল বুড়িমার চকলেট বোম৷
.
...
more...

সে একটা দিন ছিল বুড়িমার। এক পুজো থেকে আর এক পুজো বারো মাসই চাপ আর চাপ। তবে লক্ষ্মীপুজোর পরে চাঁদ যত ছোট হয়ে আসত তত দম ফেলার ফুরসত্‍ থাকত না তাঁর। ডজন, ডজন বাজি চাই। শুধুই কালীপুজো নাকি! ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচেও তো 'বুড়িমা'-ই গর্জে উঠত।
.
ওনার আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস। জন্ম, বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের ফরিদপুরে৷ তারপর দাঙ্গা, দেশভাগ, স্বাধীনতার এক কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে অন্নপূর্ণা দাস পরিণত হলেন অবশেষে বুড়িমা তে ।ছিন্নমূল অবস্থায় তিনি যখন এ পার বাংলায় এলেন তখন তিনি দিশেহারা চার সন্তানের জননী। তিন মেয়ে এক ছেলে। তবে বড় এবং মেজ মেয়ের বিয়ে হলেও ছোটো ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে যে এপার বাংলায় চলে আসেন । যদিও এমন সিদ্ধান্তে সায় ছিল না স্বামী সুরেন্দ্রনাথের। কিন্তু তাঁর ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়েও ছিলেন অন্নপূর্ণাও। ফলে স্বামীর মৃত্যুর পর ১৯৪৮ সালে অবশেষে ভারত অভিমুখে যাত্রা। পশ্চিম দিনাজ পুরের ধলগিরি ক্যাম্প। সঙ্গে ছোট ছোট দুই ছেলেমেয়ে। সুখের সংসার থেকে একেবারে রিফিউজি ক্যাম্পে। তখন সন্তানদের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য প্রাণান্তকর পরিশ্রম করতেন। কোনও দিন পটল, বেগুন, কুমড়ো , ঝিঙে কিনে বাজারে বিক্রি করা আবার কোনও দিন কর্মকারের কাছ থেকে হাতা , খুন্তি কিনে হাটে বিক্রি কিংবা বাড়ি বাড়ি নানান সামগ্রী ফেরি। সেই সময় গঙ্গারামপুরে পরিচয় হল সনাতন মণ্ডলের সঙ্গে। তাঁর ছিল মুদির দোকান অবশ্য তার সঙ্গে তিনি দক্ষ হাতে বিড়িও বাঁধতেন। অন্নপূর্ণা দেবীকে তিনি মা বলে সম্বোধন করেছিলেন নিজের হারানো মা কে ভুলতে। আর ধীরে ধীরে অন্নপূর্ণাদেবী সনাতনের কাছে শিখলেন বিড়ি বাঁধার কায়দা। অন্নপূর্ণার বিড়ি জনপ্রিয় হল। এই ভাবে চলতে চলতে বছর তিনেকের মধ্যে তিনি খুলে ফেললেন একটা বিড়ি তৈরির কারখানা।পাশাপাশি গড়ে উঠল তাঁর নিজস্ব পাকা বাড়িও। তবে অন্নপূর্ণার উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে পড়তে লাগল সনাতনের ব্যবসা।তখন তিনি গঙ্গারামপুর থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যান শ্বশুরবাড়ি শিলিগুড়িতে। তবে তার আগে অন্নপূর্ণাদেবীর ছোট মেয়ের জন্য একটা পাত্রও ঠিক করে দিয়ে গেলেন। পাত্রটি বেলুড়ের। বিয়ের পর নতুন জামাই বেলুড়ের প্যারীমোহন মুখার্জি স্ট্রীটে একটা দোকান সহ বাড়ির সন্ধান দেন, যার দাম ছিল তখন ন’শো টাকা। এই ভাবেই অন্নপূর্ণা দেবীর বেলুড়ে আসা এবং কলকাতার ব্যাপারী জগতের পীঠস্থান বড়বাজারে সঙ্গে যোগাযোগ।
বিড়ির সঙ্গে চলতে লাগল আরও নানা ধরনের ছোটখাটো জিনিসের ব্যবসা । এবার যোগাযোগ হল হরকুসুম গাঙ্গুলিকে। কিন্তু ইনি ব্রাহ্মণ সন্তান হওয়ায় তাঁকে সনাতনের মতো সহজে ছেলে বলে মেনে নিতে দ্বিধায় ছিলেন অন্নপূর্ণা দেবী । তবে শোনা যায় বিভেদ ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন খোদ হরকুসুমই। তিনিই একদিন অন্নপূর্ণা দেবীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে স্বীকার করিয়ে নিলেন ছেলে হিসেবে। এবার তাঁর কাছ থেকেও অন্নপূর্ণা দেবী শিখে নিলেন আলতা, সিঁদুর বানানোর কৌশল। যথারীতি অন্নপূর্ণা দেবী কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করলেন আলতা -সিঁদুরে। অন্নপূর্ণা দেবী বুঝলেন মন দিয়ে করলে যে কোনও ব্যবসাতেই সফল হওয়া সম্ভব।ফলে বিভিন্ন মরশুমের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিশ্বকর্মা পুজোর সময় ঘুড়ি , দোলের সময় রঙ, স্বরস্বতী পুজোর সময় পুজো সামগ্রী এমনকি কালী পুজোর সময় অন্য জায়গা থেকে বাজি কিনে এনে বিক্রিও করতে শুরু করলেন। এভাবে দিন কাটতে লাগল আর বাজি বিক্রি করতে করতে তিনি খেয়াল করলেন কমবয়সীরা কিনতে এসে তাঁকে বুড়িমা বলে সম্বোধন করছে। তা শুনে দিনের শেষে অবাক অন্নপূর্ণা নিজেকে আয়নায় দেখলেন তাঁর চুলে কেমন পাক ধরেছে ৷বুঝলেন আক্ষরিক অর্থেই তিনি ‘বুড়িমা’ হয়ে গিয়েছেন । তাতেও উদ্যম না হারিয়ে আরও বেশি বেশি করে বাজি কিনে এনে দোকান ভরানোর ইচ্ছে হল। একহাজার টাকা ধার নিয়ে বড়বাজার থেকে বাজি এনে দোকান ভরালেন বিক্রির জন্য বুড়িমা । কিন্তু সেই সময় ব্যবসায় ধাক্কা খেলেন আইন না জানা থাকায়৷পুলিশ এসে জানতে চাইল বাজি বিক্রির সরকারি ছাড়পত্র কোথায়? লাইসেন্স না থাকায় সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত হল। জীবনে অনেক ঝড় ঝাপটা সামলেছেন তাই এতে বিচলিত হলেন না বরং জেদ চাপল তাঁর৷ছাড়পত্র জোগাড় করে এবার নিজেই বাজির তৈরি করবেন ঠিক করলেন৷ওই বয়েসেও বাজি বানানোর পদ্ধতি জানতে বুঝতে হাওড়ার বাঁকরা, বজবজের নুঙ্গি চষে ফেললেন। এবার পরিচয় হল বাজি বিশেষজ্ঞ আকবর আলির৷ তাঁর কাছ থেকে শিখলেন সোরা , গন্ধক, বারুদের বিভিন্ন অনুপাতে মিশিয়ে বাজি তৈরি করতে আর পুরো মন দিলেন বাজিতেই৷তিনি এযুগের ম্যানেজমেন্ট গুরুদের মতো ব্র্যান্ডিং জানতেন না ঠিকই তবে নিজের বাজিকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে নাম দিলেন ‘বুড়িমা’ যেহেতু এই নামেই কচিকাঁচারা তাঁকে ডাকে৷ তারপর রাতারাতি তিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন যেটা বানিয়ে, সেটা হল বুড়িমার চকলেট বোম ।
.
ধীরে ধীরে তিনি তালবান্দা আর ডানকুনিতে তৈরি করে ফেললেন আরও দুটো কারখানা।নিজে আরও বড় , আরও বড় কারখানা, আরও বড় ব্রাণ্ডিং – এর প্রয়োজনে পাড়ি দিলেন দক্ষিণ ভারতের বাজি শহর শিবকাশীতে । সেখানেই লিজে জমি নিয়ে দেশলাই কারখানা গড়লেন। ফলে রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে এবার বুড়িমার নাম ছড়িয়ে পড়ল সারা ভারতবর্ষে । দীপাবলি আর কালীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে গেলো ‘বুড়িমা’র নাম। শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা এবং চিনাবাজি আগ্রাসন হয়তো বুড়িমার দাপট কমিয়েছে কিন্তু বুড়িমার নস্টালজিয়াকে মনে হয় না মুছতে পেরেছে ৷
.
তথ্যসূত্র : কলকাতা 24x7 ও এবেলা
#BanglaGolpo Series

Translate to English
Translate to Hindi
1 Followers
Info Update
681983 views
6

Oct 09 2019 (23:56)   31311/Sealdah - Kalyani Simanta Local | KYI/Kalyani (4 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26418 blog posts
Entry# 4453573            Tags   Past Edits
ব্যর্থ এক প্রেমকাহিনী ............ ‌‌💔💔
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আঁচ তখন এসে পড়েছে বাংলার উঠোনেও। জাপানি বোমার ভয়ে কাঁপছে কলকাতা। গুজব রটছে অহরহ, এই বুঝি জাপানি সেনারা ঢুকে পড়ল দেশে। কোহিমায় তখন জাতীয় পতাকা তুলেছেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। আজাদ হিন্দ বাহিনী দখল নিয়েছে ইম্ফলের। জাপানিদের নিয়ে ভয়ের পাশাপাশি নেতাজিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাও ঘন হচ্ছে। জাপানি আর নেতাজীর জোট বাংলায় ঢুকে এলে আসলে সুবিধে না অসুবিধে—তা নিয়ে তর্ক হচ্ছে ইতিউতি। কিন্তু, কিছুই যেহেতু ভালো করে স্পষ্টাস্পষ্টি বোঝা যাচ্ছে না, ফলে সব মিলিয়ে একটা ঘন ধোঁয়াশা।
এই বিশ্বযুদ্ধের আবহেই মিত্রশক্তির পক্ষে ব্রিটিশদের সাহয্য করতে বাংলার মাটিতে
...
more...
পা রেখেছিল মার্কিনি সেনারা। মূল লক্ষ্য জাপানি সেনাদের ঠেকানো। বিভিন্ন জায়গায় মার্কিনি সেনা ব্যারাক তৈরি হল। আর, কলকাতা থেকে কমবেশি পঞ্চাশ কিমি দূরে তৈরি হল পুরোদস্তুর মার্কিনি সেনা উপনিবেশ--- ‘রুজভেল্ট নগর’। বিমান ঘাঁটি, সেনা-আবাস, মিলিটারি হাসপাতাল— অনেক কিছুই ছিল এখানে। শোনা যায়, গঙ্গার ধারে নদিয়া জেলার ৪৫টি গ্রাম নিয়ে এই নগরের পরিকল্পনার আড়ালে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বয়ং। ‌⛴️
এরপর হাওয়া ঘুরল। জার্মানি আত্মসমর্পণ করল। পরমানু বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত জাপানও পরাজয় মেনে নিল। এই দেশ থেকে সমস্তকিছুর পাট চুকিয়ে বিদায় নিল মার্কিনি সেনারা। তাদের সেই সেনা ছাউনি, বিমান ঘাঁটি অপেক্ষা করতে লাগল পরিত্যক্ত হবে বলে। যুদ্ধের নানা স্মৃতি নিয়ে পড়ে থাকা এই মার্কিনি উপনিবেশ তখন মুখ ঢেকেছে জঙ্গলে, উঁচু-উঁচু ঘাসে। ‌🎄🎄
রুজভেল্ট নগর সন্নিহিত রেল স্টেশনটির নাম তখন ‘চাঁদমারি হল্ট’। এই স্টেশনটির নামই পঞ্চাশের দশকে বদলে হয়ে গেল ‘কল্যাণী’। শুধু ‘চাঁদমারি হল্ট’ স্টেশনই নয়, প্রায় সমগ্র রুজভেল্ট নগরই ততদিনে নতুন শহর ‘কল্যাণী’র নামে লীন হয়ে গেছে।
হঠাৎ করে, পরিত্যক্ত মার্কিনি সেনা-উপনিবেশের ভোল পালটে এমন নতুন শহর গড়ে উঠল কেন? কারণ, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের ইচ্ছে ছিল কলকাতার থেকে খানিকটা দূরে আরো একটি বড় শহর গড়ে তোলার। যেটি শিল্পাঞ্চল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে। কলকাতার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ এতে খানিক হালকাও হবে। বিকেন্দ্রীভবনের মাধ্যমে রাজধানীর পরিধিটিও এইভাবে খানিক বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। কেউ কেউ বলেন, বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্ন আসলে ছিল দ্বিতীয় কলকাতা তৈরির। রুজভেল্ট নগরের অদূরেই গঙ্গা। রেলপথে যাতায়াতেও অসুবিধে নেই। কলকাতা থেকে দূরত্ব ৫০ কিমি। ফলে, আদর্শ নগর গড়ে তোলার জন্য এই পরিত্যক্ত মার্কিনি উপনিবেশকে ভালোই মনে ধরেছিল প্রাক্তন কিংবদন্তী মুখ্যমন্ত্রীর।
কিন্তু, নতুন নগরের নাম ‘কল্যাণী’ হল কেন? উন্নয়নের কল্যাণ কামনায় তৈরি নগর বলে? নামকরণের ইতিহাস এত সরল নয় বন্ধু........ অন্তরালে রয়েছে একটি ব্যর্থ প্রেমের উপাখ্যান !
কিংবদন্তী চিকিৎসক নীলরতন সরকারের পাঁচ কন্যার একজন হলো কল্যাণী। রূপে লক্ষী গুণে সরস্বতী কন্যাটিকে ঘরে আনতে আগ্রহী পুরানো কলকাতার এলিট সমাজের কুমার গণ । এহেন কন্যার পাণিপ্রার্থী হয়ে গেছিলেন সদ্য ডাক্তারী পাস তরুণ বিধান রায় । শহরের সবচেয়ে ধনী ও মানী ডাক্তার বাবা শুনেই তো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন, সোজা দেখিয়ে দিলেন সদর দরজা ।
জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতিকে কোনোদিনই নাকি ভুলতে পারেননি বিধানচন্দ্র, অবিবাহিত থেকে গেলেন আজীবন। এই পরিণামহীন প্রণয়েরই সাক্ষ্য বহন করছে ‘কল্যাণী’ নামকরণ। ‌🏵️
১৯৫১-তে শহরের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল কৈলাশনাথ কার্টজু আর প্রাক্তন ‘চাঁদমারি হল্টের’ নাম মুছে স্টেশনে ‘কল্যাণী’ লেখা হয়েছিল ১৯৫৪-তে। সেসব কবেকার কথা। রুজভেল্ট নগর থেকে কল্যাণী হয়ে ওঠার মতোই তারপর অনেক বদলেছে এই শহর। ফাঁকা জমি ভরাট হয়েছে। স্মার্ট সিটির তকমা লেগেছে গায়ে। কল্যাণীকে দ্বিতীয় কলকাতা বানানোর সাধ সম্পূর্ণ হয়নি বিধানচন্দ্র রায়ের। কলকাতার থেকে দূরত্ব হয়তো একটা বড়ো কারণ। কিন্তু, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নিয়ে এই শহর নিজের মতো দিব্যি আছে। এখনো এখানে শ্বাস নেওয়ার মতো গাছ আছে, সবুজ আছে, বনানীর ফাঁকে প্রেম করার মতো নির্জনতা আছে।🎄🎄
আর আছে, মার্কিনি উপনিবেশ থেকে ‘কল্যাণী’ হয়ে ওঠার আড়ালের গল্পরা। সেই গল্পে যুদ্ধও আছে, আছে নতজানু প্রেমও। বেশ খানিকটা খাঁটি সত্যি, কিছুটা রহস্যে ঢাকা। রহস্য না থাকলে কী আর টান জন্মায়!‌💢
লেখক - স্বপন সেন click here
.
#BanglaGolpo Series

Translate to English
Translate to Hindi
1 Followers
Info Update
50135 views
1

Sep 26 2019 (11:59)   13031/Howrah - Jaynagar Express | PNE/Prantik (3 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26418 blog posts
Entry# 4438762            Tags   Past Edits
প্রান্তিক স্টেশনের ইতিবৃত্ত
বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছতে হেঁটে মিনিট ৫/৭ লাগে। বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেন্জার ধরব। পথের ধারের গাছ, বনফুল, লালমাটির রাস্তার ছবি তুলতে তুলতে স্টেশনে পৌঁছলাম। যথা সময়ে ট্রেন এল। ট্রেনে উঠে মনে হল আমার বন্ধুদের প্রান্তিক স্টেশনের ইতিবৃত্ত জানাই।
কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাবার পথে সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের উপর একাধিক ‘ক্রসিং স্টেশন’ গড়ে তুলেছিল রেল। একে একে গড়ে উঠেছিল ঝাপটের ঢাল, নোয়াদার ঢাল, পিচকুরির ঢাল, তারাপীঠ এবং কলকাতা থেকে একশো মাইল দূরে শান্তিনিকেতনের কাছে প্রান্তিক স্টেশন।
রেলের
...
more...
মাল সরবরাহের জন্য ক্রসিং স্টেশন ছিল প্রান্তিক। তখন কেবল রেলের কর্মী এবং অন্য গাড়িকে পাস করানোর জন্যই ব্যবহৃত হতো এই স্টেশন।
১৯৬১ খৃষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় রেল ঠিক করল কলকাতা থেকে ১০০ মাইল দূরে স্মৃতি স্মারক হিসেবে একটি স্টেশন স্থাপন করবে। ক্রসিং স্টেশনটি ঠিক ১০০ মাইল দূরেই ছিল। তাই ক্রসিং স্টেশনকে পূর্ণ স্টেশনের মর্যাদা দিল রেল। ওই পূর্ণ স্টেশনের নাম ‘প্রান্তিক’ রাখা নিয়ে পত্রপত্রিকায় কম বিতর্ক হয়নি। কেউ বলেছিলেন ‘রবি-তীর্থ’। কেউ চেয়েছিলেন ‘খোয়াই’। কারো মতে ‘গীতাঞ্জলি’। শেষমেশ রেল সিলমোহর দিল শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী, সাহিত্যিক প্রমথনাথ বিশীর দেওয়া নাম— ‘প্রান্তিক’।
পূর্ণ স্টেশন হলেও ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত প্রান্তিকে রেলের কর্মী নামানো এবং অন্য গাড়িকে ক্রসিং করানো হতো।
এমন সময়ে বিশ্বভারতীর বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হলেন ডি এন চক্রবর্তী। তাঁর ভাইপো ছিলেন রেলের হাওড়া ডিভিশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট। তিনি শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এলে বাসিন্দারা তাঁর কাছে প্রান্তিক স্টেশন থেকে টিকিট দেওয়ার আর্জি জানান।
১৯৭০ সালে শুরু হল সাধারণ মানুষকে টিকিট বিক্রি। দু’টি ট্রেনের স্টপ পেলেন প্রান্তিকবাসী। বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এবং বারাউনি লোকাল। এলাকা তখন বিদ্যুত হীন। তাই সন্ধ্যা নামলেই আঁধার নেমে আসত স্টেশনে। রাতভর গা ছমছমে আঁধারেই ডুবে থাকত স্টেশন। নিরাপত্তার কারণে গয়া পর্যন্ত যাওয়ার রাতের গাড়িকে দাঁড় করাতেও ভয় পেতেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
১৯৭২ সালে প্রথম তৎকালীন ডিআরএম-কে বিষয়টি জানান শান্তিনিকেতন এলাকার বাসিন্দারা। নানা টালবাহানার পরে ১৯৮৪ সালের ২৫ বৈশাখ প্রান্তিক আনুষ্ঠানিক ভাবে পায় বিদ্যুৎ সংযোগ।
প্রথমে ছবির মত সুন্দর একটি স্টেশন ছিল প্রান্তিক। ২০০০ খৃষ্টাব্দের পরে নতুন স্টেশন হল। ধীরে ধীরে ওয়েটিং রুম, ওভারব্রিজ, পানীয় জল-সহ নানা পরিষেবা যুক্ত হয়ে প্রান্তিক এখন আধুনিক স্টেশন। স্টেশন থেকে বেড়িয়েই ঝাঁ চক্ চকে রাস্তা চলে গেছে ৩ কি. মি. দূরে শান্তিনিকেতনে। বোলপুর ও প্রান্তিক স্টেশন থেকে শান্তিনিকেতনের দূরত্ব সমান। তাই বোলপুরের জ্যামজট ও সংকীর্ণ রাস্তা এড়াতে অনেকেই প্রান্তিক স্টেশনকে ব্যবহার করছেন।
আজ রেলের সামান্য একটি ‘ক্রসিং স্টেশন’ থেকে দেশবিদেশের মানুষের কাছে পছন্দের এক জায়গা হয়ে উঠেছে এই প্রান্তিক।
#BanglaGolpo series click here

Translate to English
Translate to Hindi
1 Followers
Info Update
516360 views
8

Dec 05 2018 (17:20)   34100/127th Kolkata Return Special of Swami Vivekananda | KBGB/Komagata Maru Budge Budge (1 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26418 blog posts
Entry# 4071217            Tags   Past Edits
কোমাগাতা মারু-বজবজ
=============
কোমাগাতা মারু। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কম আলোচিত ইতিহাস। কানাডার অভিবাসন আইনের প্রতিবাদ করার জন্য বাবা গুরদিত সিং সান্ধু জাপানী জাহাজ কোমাগাতা মারু ভাড়া করে ৩৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ভ্যাঙ্কুভার এর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এই জাহাজ ২৩/৫/১৯১৪ তে ভ্যাঙ্কুভার পৌঁছায়। কিন্তু কানাডার সরকার এদের মধ্যে ৩৫২ জনকে ২৪/৭/১৯১৪ তারিখ পর্যন্ত আটকে রাখার পর ফেরৎ পাঠায়। কোমাগাতা মারু বজবজ বন্দরে ফিরে আসে ২৯/৯/১৯১৪ তে। কিন্তু বিপদের শেষ এখানেও হয় নি। ব্রিটিশ সরকার ক্লান্ত, ক্ষুধার্থ এই যাত্রীদের জোর করে বজবজ ষ্টেশনে অপেক্ষমান বিশেষ ট্রেনে তুলে পাজ্ঞাব পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
...
more...
গুরদিত সিং এর নেতৃত্বে শুরু হয় প্রতিবাদ। ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে মারা যায় ঊনিশ জন শিখ এবং আরও কয়েকজন । বাকি প্রত্যেকেই কম বেশি আহত হয়। গুরদিত সিং আরও কয়েক জনের সাথে ব্রিটিশ পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালাতে সক্ষম হন।
এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৬ সালে কানাডা ভ্রমণ এর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই বন্দরেই ১৮৯৭ সালে শিকাগো থেকে কলকাতা ফেরার সময় স্বামী বিবেকানন্দ অবতরণ করেন। বজবজ ষ্টেশনে তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন, পরে এখান থেকেই তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।
সেই বজবজ ষ্টেশন থেকে এখন কোনো ট্রেন না ছাড়লেও সেই পুরনো ষ্টেশন, সেই প্রতিক্ষালয়, সেই ষ্টেশন বিল্ডিং এখনো ইতিহাসের সাক্ষর বহন করছে। ১৯৫২ সালে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী জহর লাল নেহেরু এখানে পুরনো ষ্টেশন বিল্ডিং এর কাছে কোমাগাতা মারু শহীদ স্তম্ভ এর উদ্বোধন করেন। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আজও গঙ্গার ধারে বজবজের সেই বন্দরের জেটি লোহার কাঠামো নিয়ে নীরবে ইতিহাস শুনিয়ে যাচ্ছে। পুরানো স্টেশনের কাছে নতুন সাজে নতুন রূপে দাঁড়িয়ে আছে কোমাগাতা মারু- বজবজ স্টেশন যা শিয়ালদা থেকে মাত্র ২৫ কি.মি. দূরে।
Source click here
#banglagolpo Series

Translate to English
Translate to Hindi
Page#    4 Blog Entries  

Travel SAFE

1. RailFanning does NOT MEAN dangerous pics/videos.
2. Doorplating pics/youtube videos are strictly FORBIDDEN in IRI.
3. Take plenty of food pics and other safe pics.
4. Write human interest narratives to make the pics interesting.
5. Enjoy blogging and travelling SAFELY.

REMEMBER: YOUR LIFE is the most precious thing, NOT RailFanning.

Leading Polls

Rail News

New Trains

Site Announcements

  • Entry# 5648027
    Mar 01 2023 (12:44AM)


    In response to past confusions with Train/Station updates and resulting fights and controversies, the following clear and objective guidelines are being issued, with no room for any arguments or debates about validity. Also, included, some other changes with respect to Ratings. 1. All Red Ratings will require further explanation. Red Ratings won't...
  • Entry# 5388512
    Jun 24 2022 (08:45AM)


    As announced previously, there are a few changes coming to IRI user accounts, based on past practices. 1. As before, you will be able to quickly DELETE your IRI User account at ANY time. However, the menu option for this was hidden in the profile page, and could not easily be located....
  • Entry# 5148000
    Nov 29 2021 (06:40AM)


    A new feature will be released soon, whereby you can follow blogs tagged with specific Trains & Stations. If you have already posted blogs tagged with some Train/Station, then you will be set to automatically follow that Train/Station. Thereafter, any future news/blogs tagged with those Trains/Stations will be marked to your...
  • Entry# 5093784
    Oct 13 2021 (07:04AM)


    These days, every other day, we are getting requests from members to allow email login to their FB-based IRI account. 10 years ago, we had given the option for users to login through FaceBook - in retrospect, this was a mistake. These days, apparently, users are quitting FaceBook in droves because...
  • Entry# 4906979
    Mar 14 2021 (01:12AM)


    Followup to: Fmt Changes The new version of FmT 2.0 will soon be here - in about 2 weeks. As detailed in the previous announcement, many of the old FmT features like Train TT, Speedometer, Geo Location, etc. will be REMOVED. It will be a bare-bones simple app, focused on trip blogging. It...
  • Entry# 4898771
    Mar 06 2021 (10:33PM)


    There are some changes coming to FMT. Many of the features of FMT, like station arrival, TT, speed, geo, passing times, station time, etc. are ALREADY available in OTHER railway apps. So all of these features will be REMOVED. We'll have ONLY BLOGGING - quick upload of pics/videos/audio, etc. You may attach...
Scroll to Top
Scroll to Bottom
Go to Mobile site
Important Note: This website NEVER solicits for Money or Donations. Please beware of anyone requesting/demanding money on behalf of IRI. Thanks.
Disclaimer: This website has NO affiliation with the Government-run site of Indian Railways. This site does NOT claim 100% accuracy of fast-changing Rail Information. YOU are responsible for independently confirming the validity of information through other sources.
India Rail Info Privacy Policy